বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

ওজন কমান ৭০ শতাংশ পর্যন্ত


Fat-Ladyওজন কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করি। নিয়মিত ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ ও হালকা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলে আমাদের ওজন কমে আসে—এটা আমরা সবাই এখন কম-বেশি জানি। কিন্তু এই ওজন কমানোর হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া যায় ছোট একটি ব্যবস্থা নিলে।
বছরের পর বছর বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন কোনো একটি উপাদান খুঁজে পাওয়ার জন্য, যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ২০০৮ সালে আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সালেমার শিবলি ৩৮ জন স্থূল মানুষকে নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি ১১ সপ্তাহ ধরে তাদের প্রতিদিন চাহিদার চেয়ে প্রায় ৮০০ ক্যালরি কম খেতে দিতেন। পরে দেখা যায়, যাদের রক্তে ভিটামিন ডি’র লেভেল বেশি, তারা যাদের লেভেল কম, তাদের তুলনায় বেশ দ্রুত ও বেশি মেদমুক্ত হতে পেরেছেন। এ বেশির পরিমাণ ৭০ শতাংশেরও বেশি।
এরপর মেদ কমাতে ভিটামিন ডি’র উপযোগিতা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণাতেই মেদ দ্রুত কমাতে ভিটামিন ডি’কে বিশেষ উপযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ভিটামিন ‘ডি’ ওজন কমাতে একটি উত্কৃষ্ট নিয়ামক হলেও শুধু এ ভিটামিন খেলে আপনার মেদ বা ওজন যে কমে যাবে, তা কিন্তু নয়।
ধরুন, মেদ বা ওজন কমাতে আপনি ডায়েট করছেন বা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করছেন এবং সঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’-সংবলিত খাবার খাচ্ছেন, তাহলে আপনার মেদ বা ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ও দ্রুত কমবে।
এখন আসা যাক আমরা ভিটামিন ‘ডি’ কীভাবে পেতে পারি, সে আলোচনায়। সাধারণত সকালের নরম রোদ থেকে আমাদের শরীর ভিটামিন ‘ডি’ উত্পাদন করে থাকে। তবে যান্ত্রিক জীবনে এ সকালের রোদ উপভোগ করার সৌভাগ্য আমাদের খুব কম মানুষেরই হয়। তাই আমাদের অনেককেই নির্ভর করতে হবে বিভিন্ন খাবার বা সম্পূরক খাদ্যের ওপর। মাশরুম, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, যেমন ম্যাকারেল, শারডিন, ডিম ইত্যাদিতে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ও কার্যকরী ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় কডলিভার অয়েলে।
তাই আপনি যদি চান দ্রুত ও বেশি পরিমাণে মেদ ও ওজন কমাতে, ডায়েট প্ল্যান ও ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজের সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’ও গ্রহণ করুন।

পেটের মেদ দ্রুত কমাতে কার্যকরী যে সহজ ব্যায়াম

পেটের মেদ দ্রুত কমাতে কার্যকরী যে সহজ ব্যায়াম

মেদহীন সুন্দর পেট সবারই কাম্য। সিক্স প্যাক অ্যাবস পাওয়া তেমন কঠিন কিছুই নয় যদি আপনি জানতে পারেন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে দ্রুত পেটের মেদ কমানো যায়। আসুন জেনে নিই কিছু পদ্ধতি যা আপনার পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।

হাঁটা এবং দৌড়ানো
মনে করতে পারেন হাঁটা বা দৌড়ানোর সাথে পেটের মেদের সম্পর্ক কি? মূল বিষয় হল মেদ। আপনার জেনেটিক্স নির্ধারণ করে আপনার শরীরের কোথায় মেদ জমবে। আর মেদ কমানোর জন্য হাঁটা বা দৌড়ানোর বিকল্প নেই। হাঁটলে এবং দৌড়ালে শরীরের মেদ কমে যায়। সাথে পেটের মেদ ও কমে আসে।
এলিপ্টিকাল ট্রেইনার
যাদের দৌড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব তারা একটি এলিপ্টিকাল ট্রেইনার যন্ত্রটি কিনে নিতে পারেন। এই যন্ত্রটি অত্যন্ত কার্যকরী। ১৪০ পাউন্ড ওজনের যে কেউ মাত্র ৩০ মিনিট ব্যবহার করলে ৩০০ ক্যালোরি ক্ষয় করতে পারেন।
বাই-সাইক্লিং
পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বাই-সাইক্লিং এর জুড়ি নেই। একজন সাধারন মানুষ মাত্র ৩০ মিনিট সাইক্লিং করলে ২০০-২৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারেন। বাই-সাইক্লিং পেটের মেদ কমিয়ে পেশীকে সুগঠিত করে।
বাই-সাইক্লিং এক্সারসাইজ
সময়ের অভাবে অনেকেরই হয়তো বাই-সাইকেল নিয়ে বের হওয়া হয়ে উঠে না। কিংবা আমাদের দেশের পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন অবস্থায় করতে পারেন বাই-সাইক্লিং এক্সারসাইজ! গবেষণায় দেখা গেছে পেটের মেদ কমাতে প্রথমেই এই ব্যায়ামটি করা হয়, এবং কাজ হয় খুব অল্প সময়েই। নিজের বিছানায় শুয়ে প্রতিদিন অল্প কিছু সময় এই ব্যায়াম করলেই আপনার পেট থাকবে চমৎকার মেদহীন। আসুন, জেনে নেই পদ্ধতি।
•প্রথমে সমান জায়গায় সোজা হয়ে মাথার পিছনে হাত দিয়ে শুয়ে পরুন।
•এরপর পা ভাঁজ করে হাঁটু বুকের দিকে আনুন এবং একই সাথে কাঁধ সহ মাথা উপরে তুলুন।
•ডান কুনুই বাম হাঁটুর কাছাকাছি আনুন এবং ডান পা সোজা করে দিন।
•এরপর বাম কুনুই ডান হাঁটুর কাছাকাছি আনুন এবং বাম পা সোজা করে দিন।
•এই দুটি ধাপ বিরতিবিহীন ভাবে করে সাইকেল এ প্যাডেল মারার মত শরীর নাড়াতে থাকুন।
প্রথম প্রথম আপনি যেটুকু করতে পারেন, সেটুকু সময়েই করুন এই ব্যায়াম। আস্তে আস্তে সময় বাড়ান। এক টানা করতে না পারলে বিরতি দিয়ে দিয়ে দিনে কয়েকবার করে করুন।
পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি ক্ষয় করতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে যেমন সুগঠিত করে তেমনি শরীরকে সুস্থও রাখে। ব্যায়ামের পাশাপাশি সুষম খাবার তালিকাও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

পেটের মেদ কমানোর ৫ টি কার্যকরী পরামর্শ

পেটের মেদ কমানোর ৫ টি কার্যকরী পরামর্শ

 
0
656

পেটের মেদ কমানোর কার্যকরী পরামর্শ
Print Friendly
মেদ আমরা কেউ পছন্দ করি না। বিশেষ করে মেদহীন সুন্দর পেট আমরা সবাই আশা করি। পারফেক্ট ফিটনেস তথা সিক্স প্যাক অ্যাবস পাওয়া কোনো কঠিন কিছুই নয় যদি আমরা জানতে পারি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে দ্রুত পেটের মেদ কমানো যায়। পেটের মেদ শরীরের অন্য অংশ থেকে একটু আলাদা। শরীরের অন্য অংশের মেদ সাধারণত চামড়ার নিচে জমে থাকে। তবে পেটের মেদ লিভার, কিডনি, ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে যা অনেক সময় প্রাণঘাতি হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই পেটের মেদ কোমানো উপায় সমূহ-
খাবার-
আসলে পেটের মেদ ঝেড়ে ফেলার কোনো সহজ পথ নেই যার মাধ্যমে আমরা রাতারাতি ওজন কমাতে পারি। এর জন্য চাই সঠিক জ্ঞান, ধৈর্য ও সাধনা। শুধু ব্যায়াম করলে হবে না এর জন্য আপনাকে খবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে। আসল কথা হলো কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে সেই ধরণের খবার খেতে হবে যেমন শাক-সব্জি, ফল, ছোট মাছ, ছোট মুরগি । ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
সাইক্লিং-
পেটের মেদ কমানোর জন্য বাইসাইক্লিং এর জুড়ি নেই। একজন মানুষ কেবল মাত্র ৩০ মিনিট সাইক্লিং করলে ২০০-২৫০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারেন। সাইক্লিং পেটের মেদ কমিয়ে পেশিকে সুগঠিত করে।
 হাঁটা ও দৌড়ানো-
শরীরের মেদ কমাতে হাঁটা বা দৌড়ানোর বিকল্প নেই। জোরে হেঁটে শরীর থেকে ঘাম ঝড়ানো হলো সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। এমন ভাবে হাটুন যাতে করে শরীর থেকে ঘাম ঝরে ও শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়।
 আধা ঘন্টা জোরে হাঁটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে শরীরে জমা থাকা ফ্যাট ভাঙতে থাকে। নিয়মিত হাঁটলে আপনার শরীরের জমানো চর্বি বা মেদ একটু একটু করে কমতে থাকবে।
তবে প্রথম দিনই বেশি সময় হাঁটা শুরু করবেন না। এর ফলে আপনার শরীর ব্যথা হতে পারে ফলে আপনি পরবর্তীতে ব্যায়াম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই প্রথম দিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট, এভাবে একটু একটু করে সময় বাড়াতে হবে ৪০-৪৫ মিনিট এবং ১ ঘন্টাতে স্থির থাকুন। মনে রাখবেন অতি দ্রুত ওজন কমানো গেলে ও এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বাইসাইক্লিং এক্সারসাইজ-
খবার নিয়ন্ত্রণ করছেন, নিয়মিত হাঁটছেন, ওজন একটু একটু করে কমছে, কিন্তু পেট তো কমছে না। অনেকেই এই অভিযোগ করে থাকেন আসলে ব্যায়াম কার্যকর না হলে পেটের চর্বি কমতে সাহায্য করবে না। তার জন্য প্রয়োজন বাইসাইক্লিং এক্সারসাইজ। আর বাইসাইক্লিং এক্সারসাইজের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে মধ্যেই এর কার্যকরীতা বোঝা যায়। আসুন বাইসাইক্লিং এক্সারসাইজ কিভাবে করব।
* প্রথমে সমান জায়গায় সোজা হয়ে মাথার পিছনে হাত দিয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর পা ভাজ করে হাঁটু বুকের দিকে আনুন এবং একই সঙ্গে কাঁধসহ মাথা উপরে তুলুন।
* ডান কনুই বাম হাঁটু কাছাকাছি আনুন এবং ডান পা সোজা করে দিন।
* এরপর বাম কনুই ডান হাঁটুর কাছাকাছি আনুন এবং বাম পা সোজা করে দিন।
* এই দুটি ধাপ বিরতিহীন ভাবে করে সাইকেল এ প্যাডেল মারার মতো শরীর নাড়াতে থাকুন।
প্রথমে আপনি যেটুকু করতে পারেন সেটুকু সময়ই করুন। আস্তে আস্তে সময় বাড়ান। একটানা করতে না পারলে বিরতি দিয়ে দিনে কয়েকবার করুন।
রাতে খাবারের পরে-
এতোক্ষণ জানলেন জমানো চর্বির কথা। এবার জেনে নেই, যাদের পেটে তেমন মেদ নেই তবে ধীরে ধীরে পেট বেড়ে যাচ্ছে তারা কি করবেন?
তার প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে আস্তে আস্তে ১০ মিনিট হাঁটুন। কেবল এই ১০ মিনিট হাঁটার কারণে যে পরিমাণ চর্বি জমতে বাধা পায় তা যদি আমরা ব্যায়ামের মাধ্যমে কমাতে চাই তাহলে আমাদের ৩-৪ ঘন্টা এক নাগারে জোরে দৌড়াতে হবে।
পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালরি ক্ষয় করতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে যেমন সুগঠিত করে, তেমনি শরীর সুস্থ ও রাখে। ব্যায়ামের পাশাপাশি সুষম খাবারের তালিকাও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয় সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার আশা করতে পারব।

ঘরে বসে সিক্স প্যাক বডি বানানোর কোন ব্যায়াম আছে কি?


0টি ভোট
সিক্সপ্যাক করতে গেলে আপনাকে জিমে যেতে হবে। অবশ্য জিমে না গিয়েও করতে পারবেন এর জন্যে আপনাকে মাটি কাটা লাগবে। নিচের ছবিতে যে ব্যক্তিদেরকে দেখছেন তাদের দুজনেরই সিক্স প্যাক বডি। কিন্তু একজন জিমে গিয়ে করেছেন আর অন্যজন মাটি কেটে করেছেন। আমিও দেখেছিলাম আমাদের বাড়িতে যারা মাটি কাটা বা গাছ কাজ করতে এসেছিল তাদের বডিও সিক্স প্যাক 
enter image description here
সিক্স প্যাক করতে চাইলে বেশ পরিশ্রম করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত দড়িখেলা, সাইকেল চালনা, সাইড বেলি, আপার-লোয়ারসহ পেটের ৮-১০ রকম ব্যায়াম করতে হয়।
শুধু বাহুর জন্য:
যাঁরা হাতের পেশি বাড়াতে চান, তাঁদের জন্য দরকার হাতের নানা ব্যায়াম। এর ভেতর থাকছে নিয়মিত এক ঘণ্টা করে ডাম্বেল নিয়ে সাত-আট ধরনের কৌশল চর্চা করা। এতে সুন্দর হবে আপনার বাহু বা হাতের পেশির গঠন।
পেশি তৈরি করতে:
শুরুতেই যোগব্যায়াম করতে হয়। এরপর রয়েছে আরও ব্যায়াম। ডলফিন এক্সারসাইজ নামে পরিচিত একধরনের বিশেষ ব্যায়াম করতে হয়।
খাদ্যাভ্যাস:
যাঁরা মোটা অবস্থায় জিমে গিয়ে পেশি গঠন করতে চান, তাঁদের জন্য থাকে একধরনের খাবার তালিকা। আবার ওজন কম হলেও থাকে আলাদা খাবার তালিকা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষক আপনাকে পরীক্ষা করে নানা ধরনের ব্যায়াম ও খাবারের তালিকা দেবেন। এটি মেনে চলতে হবে।
সকালে: রুটি ২টা, সবজি এবং ডিম একাধিক।
দুপুরে: ভাত, মাছ বা মুরগি, শাকসবজি
বিকেলে: হালকা নাশতা। এখানে থাকতে পারে চা-বিস্কুট ও ফলমূল।
রাতে: রাতের খাবারে ভাতের সঙ্গে মাছ বা মাংস। তবে পরিমিত ভাত খেতে হবে।
এ ছাড়া ব্যায়াম শুরু করার আগে বা মাঝে একাধিক কলা খেতে পারেন।
সপ্তাহে দুই দিন মাংস খাওয়া যেতে পারে।
ওজন ও উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা পরিবর্তন হতে পারে।
তবে যাঁদের উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি, তাঁরা অবশ্যই লাল মাংস, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন। এ ছাড়া সকালে চিরতা ভেজানো পানি, বিকেলে পানির সঙ্গে লেবু চিবিয়ে এবং বেশি করে শসা খেতে পারেন। ডিম খেলে কুসুম ছাড়া খেতে হবে।

সিক্স বা এইট প্যাকের রহস্য

সিক্স বা এইট প্যাকের রহস্য

সিক্স বা এইট প্যাকের রহস্য
সিনেমার হিরোদের প্রায়ই সিক্স অথবা এইট প্যাক বডির কথা আমরা শুনে থাকি। বলিউড নায়ক শাহরুখ খান অমুক সিনেমার জন্য সিক্স প্যাক বডি বানিয়েছেন কিংবা সালমান খান তমুক সিনেমার জন্য এইট প্যাক বডি বানিয়েছেন বলে বিনোদন পাতায় আমরা প্রায়ই পড়ে থাকি। আর হলিউডের প্রায় সব এ্যাকশন হিরোর যে সিক্স বা এইট প্যাক বডি সে তো বলাই বাহুল্য।
কিন্তু এই সিক্স বা এইট প্যাক আসলে কি, আমরা হয়তো তা অনেকেই জানি না। তাহলে চলুন জেনে নেই এই সিক্স বা এইট প্যাকের রহস্য।

মানুষের শরীরের এবডোমেনের (উদর) দুই পাশের দেয়ালে আড়াআড়িভাবে রেক্টাস এবডোমিনিস নামের জোড়ায় জোড়ায় মাসল (মাংসপেশি) সমান্তরালভাবে থাকে।

এই মাসলগুলোকে সংক্ষেপে ‘এবস’ বলা হয়ে থাকে। এবডোমেনের দুই পাশের তিন কিংবা কখনো চারটি এবস কানেকটিভ টিস্যু (কলা)দিয়ে দুই পাশে আটকানো থাকে। এই এবসগুলোই যখন কঠোর শারীরিক ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়, তখন দু’পাশের তিন-তিন ছয় কিংবা চার-চার আটটি এবসের উপর ভিত্তি করে এগুলোকে সিক্স বা এইট প্যাক বডি বলা হয়ে থাকে।

সিক্স প্যাক বানানো যেমন কঠিন, এই প্যাক ধরে রাখা তার থেকেও কঠিন। শরীরের ফ্যাট রেশিও সিঙ্গেল ডিজিটে ধরে রাখা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা নিয়মিত ওয়েট লিফটিং, খেলাধূলা, দূর পাল্লার দৌড় কিংবা সাইক্লিং করে থাকেন। সেই সাথে স্বাস্থ্যকর ডায়েটও গ্রহণ করা অপরিহার্য।

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে আনা অবশ্যই ভালো, তবে সিক্স প্যাক বানোনোর জন্য কঠোর অনুশীলনের সময় অনেক সময়ই কাঁধ, পিঠ ও ঘাড়ে অতিরিক্ত চাপ পরে, যার জন্য পরে ভুগতে হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সঠিকভাবে অনুশীলন করা অবশ্য কাম্য।

সিক্স বা এইট প্যাক হোক বা না হোক, বিব্রতকর মেদ-ভুড়ি থেকে মুক্তি পেতে সচেতন পুরুষদের এক্সারসাইজের পাশাপাশি জাঙ্ক-ফুড বর্জন, সিগারেট থেকে শত হাত দূরে থাকা এবং সেই সাথে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার বিকল্প কিছুই নেই।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ?

কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ?

  |  নবেমবর ২৫, ২০১৫ 
nor madi 1

nor madi 1

কিভাবে নর ও মাদি কবুতর চিনবেন ?

আমার এক পরিচিত আমাকে একদিন জানালেন যে তার একজোড়া কবুতর ৪ টা ডিম দিয়েছে এবং তিনি নিশ্চিত করে বললেন যে এটা নর আর মাদি, আমি তাকে বুঝানর পরও তিনি তর্ক করলেন, আমি আর কিছু বললাম না, কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন যে আসলে দুটাই মাদি। আসলে এটা উনার কোন দোষ নাই । আবার অনেক ক্ষেত্রে যখন বেশি মারামারি করে তখন বুঝা যাই যে দুটি নর। কারন অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়। সৌখিন কবুতরের ক্ষেত্রে এটা খুবই কঠিন নর ও মাদি আলাদা করা এবং অনেক অভিজ্ঞ সদস্যদেরও অনেক সময় বোকা হয়ে যান আর এটা সবসময় সহজ নয়। আর সেটা যদি বাচ্চা হয় তাহলে ত কথাই নাই, কাজটি তখন কঠিনতর হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত যদিও এ ব্যাপারে কোন সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় নি, ফলে অনেক কিছুই প্রাইয় অজানাই রয়ে গেছে। অনেক সময় দুইটা মাদি ঠিক নর মাদির মতই বৈশিষ্ট্য স্বভাব দেখা গেলেও অনেক পরে বুঝা যাই যে আসলে দুটাই মাদি, কিন্তু এর মাজে অনেক মূল্যবান সময় পার হয়ে যায়। আসুন আজ আমি আপনাদের জন্য কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্যকারী হতে পারি কিনা।
পুরুষ ও মেয়ে কবুতরের কিছু শারীরিক ও স্বভাবগত কিছু বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য আছে সেগুলো হলঃ
ক) শারীরিক বৈশিষ্ট্যঃ
============
১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ কবুতর আকারে বড় হয় বিশেষ করে তার মাথা ও চ্যাপ্টা হয়।
মেয়ে কবুতরের শরীর তুলনামূলক ছোট, বিশেষ করে তার মাথা ছোট ও লম্বা হয়।
২) চোখ একটি মুরগি এর হিসাবে বৃত্তাকার হয় না কিন্তু মেয়ে কবুতরের বৃত্তাকার হয়।
৩) পুরুষ কবুতরের পা ও এর আঙ্গুল সমান ও মসৃণ হয় না, কিন্তু মেয়ে কবুতরের পা অর এর আঙ্গুল প্রায় সমান ও মসৃণ হয়।
nor madi 3
৪) উভয় হাতে কবুতর ধরুন (মধ্য লাইন থেকে বুক বরারর নিচে হাত চালায় তাহলে হাড় শেষে একটি স্পেস আছে, তারপর বরাবর একটি আঙ্গুল দিয়ে দেখলে 2 ছোট পাতলা হাড় পাবেন “v” এর মত, তারা একসঙ্গে আসা যেখানে মধ্যে একটি ছোট আঙুল বা তার বেশি ফিট করতে পারে, তাহলে এটি মেয়ে কবুতর যেখানে ডিম পাস হয়। আর যদি ১ বা -২ মিলি ফাক থাকে তাহলে পুরুষ কবুতর। অনেকে পুরুষ বা মাদি পরীক্ষা করার জন্য আঙ্গুল পায়খানার পথে দেন, কিন্তু বিশেষ ভাবে খেয়েল রাখবেন কখনও এটা করবেন না।এতে জরায়ু বা ভিতরে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।)
৫) পুরুষ কবুতরের মাথা / ঘার ও দেহ একটু মতা একটু লম্বা ও ঘন ও সবল হয়। আর সাধারণত মাদীর মাথা / ঘার ও দেহ কাছাকাছি আরো মেয়েলি বা সূক্ষ্ম হয়।
৬) হ্যাচিং পরে ১ থেকে ৩ দিন পর যদি আপনি কবুতরের বাচ্চাকে অধিষ্ঠিত করে এর পায়খানা নির্গমনের(vent hole) পথের দিকে খেয়াল করেন তাহলে পুরুষ কবুতরের একটু চ্যাপ্টা বা smile এর মত দেখবেন আর মেয়ে কবুতরের সোজা বা গোল দেখবেন।
৭) পুরুষ কবুতরের গলার রগ মোটা হয় আর মেয়ে কবুতরের তুলনা মূলক ভাবে একটু পাতলা।
৮) পুরুষ কবুতরের ঠোঁট ধরে হালকা করে টান দিলে শে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করে, আর মেয়ে কবুতর সাধারণত চুপ করে থাকে বা কোন চেষ্টা করে না।
খ) স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যঃ
============
৯) পুরুষ কবুতরের লেজ ও শরীর ময়লা থাকে কিন্তু মেয়ে কবুতরের শরীর তুলনামূলক পরিষ্কার থাকে। পুরুষ কবুতরের ডাক খুব ঘন ও জোরে হয়, অপরদিকে মেয়ে কবুতরের ডাক থেমে থেমে ও আস্তে ডাকে।
nor madi 2
১০) পুরুষ কবুতর হুমকি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে একটি প্রয়াস চালানোর চেষ্টা করে বা মাদীকে চার্জ করবে বা সাধারণত তার মনোযোগ পেতে হালকা ঠোকর চেহারা নেয় এবং আঘাত করে যদিও এটি ইচ্ছাকৃত ঠোকর নয়। পুরুষ কবুতর গলা ফুলীয়ে একজাগা থেকে লেজ নামিয়ে মাদিকে আক্রমন করে আর মাদি মাখা নাড়িয়ে মাথা উপর নিচ করে এক জাইগাই থাকে।
১১) পুরুষ কবুতর পুরো ঠোঁট ডুবিয়ে পানি পান করে, যেখানে মাদি কবুতর অল্প বা অর্ধেক ঠোঁট ডুবিয়ে পানি পান করে।
১২) পুরুষ কবুতর মেয়ে কবুতরের থেকে বেশি আক্রমনাত্মক হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এর বাতিক্রম দেখা যায়। যদিও ডাকের কম্পন দুই জনের সমান হয় না।
১৩) পুরুষ কবুতর সূর্য দুবার আগে বেশি অস্থির থাকে, বিশেষ করে, আর মাদি কবুতর শান্ত থাকে।
১৪) পুরুষ কবুতর কবুতর সূর্য উঠার পর নেস্ত এ অবস্থান নেয়,আর মাদি সারারাত বাসায় বসে থাকে।
১৫) ব্রিডিং এর আগে নর কবুতর মাদির পায়ের কাছে বসে এক ধরনের শব্দ করে, যদিও এ সব গৌণ বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে পড়ে।
১৬) মাদি কবুতর নর কবুতরের মুকে ঘাড়ে ও গলাই ঠোঁট দিয়ে গ্রুমিং করে দেয়। আর মেটিং এর আগে ঠোঁট দিয়ে খওয়ায়ে দেই।
আশা করি এর মাধ্যমে অনেকের অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর হবে ও অনেক অনাখাঙ্কিত পরিস্থিতি থেকে বাঁচা যাবে।
মূল লেখক ঃরাব্বি ভাই ওরফে সুলতান ভাই